গ্লোবাল ট্যুর: কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ইউরোপের (শেনজেন) ভিজিট ভিসার জন্য সাধারণত কাতার থেকেই আবেদন করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো।
১. কোন দেশের জন্য আবেদন করবেন তা ঠিক করুন
যদি আপনি একাধিক শেনজেন দেশের ভ্রমণ পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে প্রধান গন্তব্য দেশ (Main Destination) যেখানে আপনি সবচেয়ে বেশি দিন থাকবেন, সেখানকার ভিসার জন্য আবেদন করুন। যদি সব দেশে সমান সময় থাকেন, তাহলে প্রথম প্রবেশের দেশ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন
প্রতিটি শেনজেন দেশ কিছুটা ভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করতে পারে, তবে সাধারণত নিচের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়—
✅ আবেদন ফরম: সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে পূরণ করুন।
✅ পাসপোর্ট: কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
✅ পাসপোর্ট সাইজ ছবি: নির্দিষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা (সাধারণত ৩.৫ x ৪.৫ সেমি)।
✅ কাতারের রেসিডেন্স পারমিট (QID): ভ্যালিড থাকতে হবে।
✅ বিমান টিকিট বুকিং: কনফার্মড টিকিট না হলেও বুকিং থাকতে হবে।
✅ হোটেল বুকিং বা আমন্ত্রণপত্র: যদি পরিবার বা বন্ধু আমন্ত্রণ জানায়, তাহলে তাদের পক্ষ থেকে Invitation Letter লাগবে।
✅ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স: কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো কভারেজ সহ।
✅ ব্যাংক স্টেটমেন্ট: বিগত ৩-৬ মাসের, যা প্রমাণ করে যে আপনি ইউরোপ ভ্রমণের ব্যয় বহন করতে পারবেন।
✅ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কাগজপত্র:
চাকরিজীবীদের জন্য: নিওয়াক্তার চিঠি, পে স্লিপ
ব্যবসায়ীদের জন্য: ব্যবসা লাইসেন্স, ট্যাক্স রিটার্ন
শিক্ষার্থীদের জন্য: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিঠি
৩. ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন
প্রতিটি ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস বা তাদের ভিসা আবেদন সেন্টার (VFS Global, BLS, TLS Contact) থেকে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে।
👉 VFS Global: https://www.vfsglobal.com
👉 BLS International: https://www.blsinternational.com
৪. দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ও আবেদন জমা দিন
নির্ধারিত তারিখে দূতাবাস বা ভিসা সেন্টারে গিয়ে—
✅ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন
✅ বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ ও ছবি) দিন
✅ ভিসা ফি পরিশোধ করুন (প্রায় €৮০ বা কাতার রিয়ালে সমপরিমাণ)
৫. ভিসা প্রসেসিং ও পাসপোর্ট সংগ্রহ
সাধারণত ১০-১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসার প্রসেসিং হয়।
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।
অতিরিক্ত টিপস
✅ সঠিক তথ্য দিন – মিথ্যা তথ্য দিলে ভিসা বাতিল হতে পারে।
✅ ভিসা রিজেক্ট এড়াতে – ব্যাংক ব্যালান্স ভালো রাখুন এবং আগের ভ্রমণের ইতিহাস (travel history) থাকলে ভালো হয়।
✅ একাধিক দেশে যেতে চাইলে – মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করুন।
আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য তথ্য চান, আমাকে জানান!
Recent Comments